সময় সংবাদ লাইভ রির্পোটঃআমাদের সংখ্যাগুরু মুসলিম দেশে ঈদুল আজহাতে লক ডাউন জারি রাখার বিষয়টা হয়তো অনেকটা স্পশকাতর। কিন্তু যেভাবে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছে মানুষকে হয়তো বোঝানো যেত যে লকডাউনের বিকল্প এই মুহূর্তে আমাদের নেই হাজারো মানুষের জীবন রক্ষায়। লকডাউনের মধ্যেই হয়তো কেউ কেউ বাড়ি যেত কিন্তু লকডাউন উঠিয়ে নেয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত বলেই আমার মনে হয় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়। যাই হোক সরকার যেহেতু অনেকটা রিস্ক নিয়েই মানুষকে তার প্রিয়জনের সাথে ঈদ করার সুযোগ দিয়েছে তাই করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে যে কাজগুলো আপনাকে সাহায্য করবে :
১) সামর্থ থাকলে টাকা একটু বেশি খরচ হলেও পরিবার নিয়ে ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ব্যবহার করুন টেক্সি, উবার, পাঠাও বা রেন্ট-এ-কার ইত্যাদি,
২) সামর্থ না থাকলে অবশ্যই গণপরিবহনে ২টা মাস্ক ব্যাবহার করুন আর সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন যেন আপনার হাতকে একটু পর পর স্যানিটাইজ করা যায়,
৩) কোনো অবস্থাতেই ট্র্যাক বা পিক আপ ভ্যানে উঠা যাবে না,
৪) গরু বা ছাগল কিনার জন্য সম্ভব হলে গরুর হাট পরিহার করুন! আপনার এলাকায় খোঁজ নিয়ে যেসব কৃষক গরু বিক্রি করবে তাদের সন্ধান করুন অথবা আশেপাশে কোনো গরুর ফার্ম থাকলে খোঁজ নিয়ে কিনে ফেলুন! গরুর হাটের রাস্তায়ও বসে থাকতে পারেন যেন খামারিরা হাটে গরু নেওয় আনার সময় দরদাম করে কিনে ফেলা যায়!
৫)পরিচিত কেউ অনলাইনে গরু বিক্রি করলে রেফারেন্স নিয়ে কিনে ফেলতে পারেন নির্বিঘ্নে,
৬) পরিবেশ বিবেচনায় গ্রামে গেলে মনে হবে গ্রামে হয়তো করোনা নেই তাই জোয়ারে গা ভাসাবেন না। আপনার একটু অসচেতনতা আপনার পরিবারের জন্য বয়ে আনতে পারে এক দুর্বিষহ বিপদ,
৭) বন্ধুদের সাথে আড্ডায় হ্যান্ডশেক বা কোলাকুলি পরিহার করুন! কেউ মাস্ক না পড়লেও আপনি ২টা মাস্ক পড়ুন! মাস্ক পড়ার কারণে কেউ উপহাস করলেও নিজস্বার্থে হজম করে ফেলুন,
৮) ঈদের নামাজে অবশ্যই মাস্ক ও জায়নামাজ ব্যবহার করুন। হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি পরিহার করুন,
৯) যেহেতু ঈদের পরে থেকে আবার লকডাউন থাকবে এবং অফিস ও কল কারখানা সবকিছু বন্ধ থাকবে তাই তাড়াহুড়ো করে ঢাকা বা অন্য কোনোখানে যেখানে আপনার কর্মস্থল যাওয়ার দরকার নাই! কয়েকদিন প্রিয়জনদের সাথে থাকুন আর গরুর মাংস উপভোগ করুন,
১০) ঈদ শেষে আপনার কর্মস্থলের বাসায় ফিরে এসে ১৪ দিন নিজেকে পর্যবেক্ষণে রাখুন এবং করোনা উপসর্গ হলেই পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন! মনে রাখবেন করোনা পজিটিভ হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারলে ফুসফুসের সংক্রমণ অনেকটাই কমানো যায়!
আমাদের সচেতনতাই পারে লকডাউন না দিয়েও করোনা সংক্রমণ কমাতে এতে আপনি, আমি বা দেশ সবাই উপকৃত হবো! কেউ ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকলে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করুন এবং ভ্যাকসিন নিয়ে নিন! সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ্য থাকবেন! ঈদ মোবারাক।
মুহাম্মদ কামরুল হাসান, কো-ফাউন্ডার এন্ড সিইও, রেডিয়েন্ট প্রিজারভেশন এন্ড ডাটা ম্যানেজমেন্ট।